পবিত্র রমজান মাসের একেবারে শেষ প্রহরে উপনীত আমরা। রমজানের দুই মাস আগে থেকে আমরা দোয়া করেছিলাম, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দেন। তিনি বড় মেহেরবানি করে আমাদের সে দোয়া কবুল করেছেন। আমাদের সবগুলো রোজা রাখার তওফিক দিয়েছেন। নিশ্চয়ই একজন মুমিনের জন্য এই মুহূর্তটা বড়ই আনন্দের। কৃতজ্ঞতায় সেজদাবনত হওয়ার মুহূর্ত। একইসঙ্গে এই মুহূর্তে এ কথাও ভাবনার বিষয়, যে আবেদন নিয়ে রমজান এসেছিল আমি সেই আবেদনে কতটুকু সাড়া দিতে পেরেছি। যে শিক্ষা রমজান আমাকে দিতে চেয়েছে আমি তা গ্রহণ করতে পেরেছি কি? আল্লাহ তায়ালা মুমিনের জন্য রমজান উপহার দিয়েছেন একটি বিশেষ উদ্দেশে। তা হলো তাকওয়া অর্জন করা।
আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার’ (সুরা বাকারা : ১৮৩)। তাকওয়ার সরল অর্থ হলো, আল্লাহর আদেশগুলো যথাযথভাবে মানা এবং নিষেধগুলো থেকে পরিপূর্ণরূপে বিরত থাকা।
রমজান এসে আমাদেরকে এই দুটি জিনিসের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রথমত, রোজা, নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া, দান, সহমর্মিতা, সংযম ও সততার গুণে গুণান্বিত হওয়ার প্রতি নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। দ্বিতীয়ত, পাপাচার, অশ্লীলতা, মিথ্যা ও পরনিন্দাসহ যাবতীয় মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে অভ্যস্ত করেছে। সুতরাং, রমজানের এই শেষ প্রহরে অবশ্যই একটু গভীরভাবে ভাবতে হবে, রমজানের উদ্দেশ্য অর্জন হয়েছে কি না? সঙ্গে সঙ্গে দৃঢ়প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে সামনের দিনে রমজানের দেওয়া শিক্ষাগুলো ধরে রাখার।