পবিত্র মাহে রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শেষে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দীর্ঘ অবসর মিলছে ধর্মপ্রাণ মানুষের। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে, আসন্ন ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি সব শ্রেণি-পেশার কর্মজীবী এবং চাকরিজীবী মানুষ। ঈদের এ ছুটিতে খুব সহজেই যে কাজগুলো করে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন সওয়াব অর্জন করা যায়, এমন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া : শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন অনেক ইবাদত আছে, যেগুলোকে আপাতদৃষ্টিতে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না; অথচ তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনই একটি বিষয় হচ্ছে আপন পরিবারস্থ লোকদের সময় দেওয়া। পরিবারের প্রতি উদাসীন ও অমনোযোগী থাকা একটি পাপ। কর্মজীবী ও চাকরিজীবী মানুষ কর্মের ব্যস্ততায় পরিবারকে যথাযথ সময় দিতে পারে না; তাই ছুটির এ সময়গুলোতে পরিবারকে সময় দেওয়ার সুবর্ণ একটি সুযোগ। রাসুলুল্লাহ (সা.) পরিবারকে সময় দিতেন, তাদের সঙ্গে আনন্দ-বিনোদনে শরিক হতেন। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-কে আনন্দ দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়েছেন। হজরত আয়েশা (রা.) এক সফরে নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি তাঁর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তাঁর আগে চলে গেলাম। বহুদিন পর; আমি মোটা হয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে আবারও দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পেছনে ফেলে দিলেন, বিজয়ী হলেন। তিনি বলেন, এই বিজয় সেই বিজয়ের বদলা।’ (আবু দাউদ : ২৫৭৮)
আত্মীয়স্বজনের খবর নেওয়া : একজন সফল মানুষের মধ্যে যেসব ভালো গুণ থাকতে হয়, তার অন্যতম একটি আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। আর তাদের খোঁজখবর নেওয়া ও সাধ্য অনুযায়ী তাদের জন্য খরচ করা। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুফল, দুনিয়ার জীবনেও পাওয়া যায়, এক হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি : ৫৯৮৫)